মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ১২:২৩ অপরাহ্ন
মো: নাসির খান (শরীয়তপুর) প্রতিনিধিঃ শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে মাদ্রাসা পড়ুয়া সাত বছরের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক মুফতি মোঃ সাইদুল (৩২) এ বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত সোমবার ৮ জুলাই ভেদরগঞ্জ থানাধীন রামভদ্রপুর ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডস্থ কালুমাঝি ইসলামিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও মজিতুন নেছা এতিমখানার প্রথম শ্রেনীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে এলাকা বাসী ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে উপযুক্ত বিচার না পেয়ে ভুক্তভোগীর মা সেলিনা (২৮) ভেদরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ২ দিন পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মত সেই দিন প্রথম শ্রেনিতে পড়ুয়া ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী কালুমাঝি ইসলামিয়া নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও মজিতুন নেছা এতিমখানায় ক্লাস করতে যায়। সেদিন সে ছুটির পড়ে সকল ছাত্র ছাত্রী চলে গেলে ওই ছাত্রীকে পিছনথেকে এসে বুকে চাপ দিয়ে যৌনহয়রানী চেষ্টা করে। পরে ছাত্রী চিতকার করলে কাকে ভয় দেখান শিক্ষক মুফতি মোঃ সাইদুল। ছুটির পরে বাড়িতে গেলে শিক্ষার্থীর মা গোসল করাতে নিয়ে গেলে ওই ছাত্রীর বুকে হাতের দাগ দেখতে পান। পরে ওই ছাত্রীকে তার মা জিগ্যেস করলে সব খুলে বলেন। পরে তাকে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়৷
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, ছুটির আমাকে সাইফুল হুজুর আমাকে বুকে দুইহাত দিয়ে চাপ দিয়ছে। আমি বাধা দিলে হুজুর আমাকে ভয় দেখায়। পরে বাসায় গিয়ে আমি মাকে বলেছি।
ছাত্রীর মা সেলনা বলেন, আমার মেয়েকে হুজুর এমন কাজ করেছে যা বলা যায়না। আমি আমার মেয়েকে যৌন হয়রানির বিচার চাই। এলাকায় বিচার না পেয়ে আমি সাইদুল হুজুরের নামে মামলা করেছি। আমি বিচার চাই।
মাদ্রাসাটির প্রিন্সিপাল মুফতি আহসান বলেন,ঘটনার সময় ক্লাস চলছিল এর কমটাই আমি শুনতে পেয়েছি এখন যেহেতু মামলা হয়েছে বিষয়টা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে।
ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু মন্ডল বলেন, এঘটনায় নারী শিশু দমন আইনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানোয় হচ্ছে।